সবাই মজা দেখতে আসেনা

ধরুন আপনি অফিসে এসেছেন, এসেই মোবাইলটা চার্জে দিয়েছেন, আগুনের হুল্লোড়ে জান বাঁচাতে ছুটে গিয়েছেন। যখন মোবাইলের কথা মনে হয়েছে, তখন আর অফিসে ফিরে গিয়ে সেটা সংগ্রহের চেষ্টা বুদ্ধিমানের কাজ হতো না? বা সেটা করতেনও না। এমনই হয়তো হয়েছে অনেকের ক্ষেত্রে। বাড়ির লোকজন বন্ধুবান্ধব ততক্ষণে জেনে গেছে আগুনের খবর।
বনানীতে অফিসে আসা মেয়েটা, লোকটা, বউটা, বেটিটা, স্বামীটা, ছেলেটা, বন্ধুটা, প্রেমিকটা ফোন ধরছে না কিংবা ফোনটা ডেড। এ রকম পরিস্থিতিতে খোঁজখবর নিতে আসা আত্মীয়স্বজনের ছুটে আসাটাই স্বাভাবিক।
একজন বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে ছুটে আসতে পারেন না? যার ছেলের অফিস বনানীতে। ছেলে হয়তো অক্ষত বা ভালো আছে। মজা দেখা পাবলিক বলে তাঁদের ঢালাওভাবে বলা কি ঠিক?
যখন কেউ এসে বলে আগুন লাগা বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়েছে ১৫/১৬ জন মানুষ। তার মধ্যে ৭/৮ জন মারা গেছে। তখন উদ্বিগ্নতার পারদ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়? এই উদ্বিগ্নতা থেকেই অনেকের ছুটে যাওয়া।
আগুন নেভানোর সব রকম চেষ্টার পাঁচ ঘণ্টা পরেও নেভেনি কিন্তু উৎসুক পাবলিকের স্বেচ্ছা উদ্ধার তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। ঝুঁকি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের স্বেচ্ছাসেবীর সঙ্গে নিজেরাও নেমেছেন অনেকে।
আমরা স্বীকার করি বা না করি, সাভারে উদ্ধারের সবচেয়ে কঠিন কাজটা উৎসুক পাবলিক শুরু করেছিল। আমরা তো দেখেছিলাম সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রশিক্ষণ না পাওয়া সাধারণ মানুষ, রোগীর সাথি আর ছাত্রদের অমানুষিক পরিশ্রম। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা হতবাক মানুষকে প্রচন্ড বলিয়ান করা সম্ভব। শুধু জানা দরকার কৌশল।