ভারতীয় দুই বৈমানিকসহ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

কাশ্মীরের আকাশ থেকে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের এক সামরিক মুখপাত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়েছে।
বুধবার সকালে আইএএফ মি-৭ ট্রান্সপোর্ট চপার বিমানটি বিধ্বস্ত হলে দুই পাইলট নিহত হয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।-খবর দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল ও ইন্ডিয়া টুডের। এটি ছিলো ভারতনিয়ন্ত্রীত কাশ্মীরের বুদগাম জেলায় দেশটির বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর টুইটারে দাবি করেছেন, ভূপাতিত ভারতীয় জেট বিমানের একটি পড়েছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ও অপরটি পড়েছে ভারতীয় অংশে।
ভারতীয় বিমানবাহিনী সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করেছিল কিন্তু তাদের ফেরত পাঠাতে বাধ্য করা হয়েছে। ভারতীয় এ দাবির পরপরই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দুটি বিমান ভূপাতিত করার বিবৃতি দেওয়া হয়।ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের এক সরকারি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান কিছুক্ষণের জন্য ভারতীয় সীমানায় ঢুকেছিল, কিন্তু তাদের ভারতীয় বিমানবাহিনী ফিরে যেতে বাধ্য করেছে।
স্থানীয় সময় ভোর রাতে ১২টি মিরেজ-২০০০ জঙ্গিবিমান জঈশ-ই-মোহাম্মদ, হিজবুল্লাহ মুজাহেদীন ও লস্কর-ই-তৈয়েবার স্থাপনা টার্গেট করে হামলা চালায়।বোমাবর্ষণ করা হয়েছে মুজাফফরাবাদ ও ছাকোতি শহরেও। এ সময় এক হাজার কেজি বোমা ফেলা হয়।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান পুনচ ও নওশেরা নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে। ফিরে যাওয়ার সময় তারা বোমা ফেলে গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানও। ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন।
তিনি শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী, সেনাপ্রধান ও উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাসহ সশস্ত্র বাহিনীকে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, ‘বুধবার (আজ) পার্লামেন্টে যৌথ অধিবেশন হবে।
কিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর বিবৃতিতে বলেছে, তাদের বিমানবাহিনী সীমান্ত এলাকায় আঘাত (স্ট্রাইক) এনেছে। তবে ওই হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি তারা। তবে এটাকে বেসামরিক হামলা বলেছে। তাদের উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই।