বিমান এখন আর ‘খুব নিরাপদ’ কোনো বাহন নয় ভ্রমণের জন্য

যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ভ্রমনের জন্য বিমান এখন আর খুব নিরাপদ কোন বাহন নয়। এতে প্রাণীহানীর ঝুঁকি রয়েছে। এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন ‘ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা (এফএএ) এর অভিজ্ঞ কিছু পরিদর্শক। তারা বলেছেন বিমানের জটিল সমস্যাগুলো তুলে ধরার পর সেগুলো এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় তাদেরই প্রতিষ্ঠান। পরিচয় গোপন রেখে এই পরিদর্শকরা কথা বলেছেন সিবিএস নিউজ এর সাথে।
যে দুইজন পরিদর্শক কথা বলেছেন তাদের দুইজনেরই রয়েছে এতে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কাজের অভিজ্ঞতা। তারা বলছেন, দেশের বিমানে ভ্রমণকারীদের জন্য জরুরী বার্তা রয়েছে তাদের।
সত্য কথা বলায় চাকুরী হারাতে হতে পারে এই ভয়ে দুই পরিদর্শক-ই নাম ও পরিচয় গোপন রেখে বক্তব্য দেন। তাদের দাবি, বিমানের জটিল সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন এফএএ’র ব্যবস্থাপকরা। প্রতিবাদ জানালে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবার জন্য বলেন ব্যবস্থাপকরা।
ইন্সপেক্টর জেনারেলের দেয়া ২০১৬ সালের প্রতিবেদনেই একই কথারই প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়। এখানে দেখা যায়, আরো একজন পরিদর্শককে একইভাবে সরে দাঁড়াবার নির্দেশ দেয়া হয় পরে তাকে সাজাও দেওয়া হয়।
মায়ামি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল একটি চার্টার এয়ারক্যাব সার্ভিস যাদের রয়েছে অনেকগুলো সরকারি চুক্তি। গত ৫ বছরে এসব চুক্তি থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে তারা।
এ মাসের শুরুর দিকে এদেরই একটি বিমান গোয়ান্তা নামক বে থেকে সেনা বহন করে ফিরছিল। একপর্যায়ে ফ্লোরিডায় জরুরি অবতরণ করে বিমানটি দুর্ঘটনায় কেউ মারা যাননি কোন সঠিক কারণও জানা যায়নি। এই প্রথমবারের মতো মায়ামি এয়ারলাইন সেনাদল বহন করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ল।
২০১৭ তে আরো নানা রকম সমস্যার মুখোমুখি হয় প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগকারী পরিদর্শকরা জানান, এফএএ’র ভ্রমণকারীদের জন্য কাজ করার কথা থাকলেও বাস্তব চিত্র আলাদা। অন্য কারো স্বার্থ রক্ষায় এখন এফএএ’র কাজ। পরিদর্শকরা এক জরুরী সতর্কবার্তায় জানান, দেশ জুড়ে ভ্রমণকারীদের জন্যে বিমান এখন আর নিরাপদ বাহন নয় এবং এতে প্রাণহানির ঝুঁকি রয়েছে।