ওষুধ ছাড়াই ডিভাইসের মাধ্যমে দেয়া হবে শিশুদের চিকিৎসা

এটেনশন ডেফিসিট হাইপার এক্টিভিটি ডিসঅর্ডার বা এডিএইচডি’র চিকিৎসার জন্য প্রথমবারের মতো ডিভাইস অনুমোদন করছে এফডিআই। সাত থেকে বার বছর বয়সের শিশুদের এই ডিভাইস দেয়া হবে। এর ফলে ঘুমের মধ্যে শিশুরা ইলেকট্রিক্যাল পালস পাবে। যার ফল পাওয়া যাবে ওষুদের সাধারণ চিকিৎসার মতোই। জরীপ অনুযায়ী ২০১৬ সালে দেশের ৬.১ মিলিয়ন শিশুকে এইচডিএর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এডিএইচডি’র চিকিৎসায় ডিভাইসটি কিভাবে কাজ করে এমন প্রশ্নের জবাবে ডক্টর টেরা নারুলা বলেছেন, ওষুধ ছাড়াই এ ডিভাইস দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যাবে। যারা ওষুধ খেতে চায়না তাদের জন্য এটা খুব দারুন ব্যাপার।
ডিভাইসটি সেলফোনের মতো দেখতে এতে তার আছে যেটার একটি অংশ শিশুর কপালের সাথে সংযুক্ত করা হয়। এভাবে আট ঘন্টা তারা এটা পড়ে থাকে। সাত বছর বয়স থেকে এর বেশি বয়সী শিশুদের জন্য এটা তৈরি করা হয়েছে, বিশেষ করে যারা চিকিৎসা নিচ্ছে না।
ডিভাইসটি নিম্নস্তরের ইলেকট্রিক্যাল পালস নিঃসরণ করে। এর ফলে একটি ক্রেনিয়াল নার্ভকে উত্তেজিত করা সম্ভব হয়। এই নার্ভ মস্তিষ্কের সেই অংশকে সংকেত পাঠায় যেটা মনযোগ আচরনের সাথে সম্পর্কিত।
চার সপ্তাহ ধরে ষাট শিশুর উপর পরিচালিত ছোট্ট একটি জরীপে দেখা গেছে, এর মাধ্যমে লক্ষণগুলো থেকে সেরে ওঠা সম্ভব। ওষুধ খেয়ে যে চিকিৎসা হয় তার মতোই ফল পাওয়া গেছে এই ডিভাইসের মাধ্যমে।
ডক্টর টেরা নারুলা বলেছেন, ডিভাইসটি নিয়ে আরও গবেষণা করতে হবে। ছোট গবেষণায় তেমন ধরনের খারাপ কিছু পাওয়া যায়নি। গবেষণায় পার্শ্ব প্রতিকিয়া হিসবে ঝিম ঝিম ভাব, ক্ষুধা, মাথা ব্যথা, দাঁতে বাত লাগার মতো সমস্যা দেখা গেছে।
ডক্টর টেরা নারুলা আরও বলছেন, এডিএইচডি’র অনেক লক্ষন আছে যেগুলোর মধ্যে দিবা স্বপ্ন, অস্থিরতা, বেশি কথা বলা, ইত্যাদি রয়েছে। বেশি কথা বলার ব্যাপারটা ভুল বুঝতে পারে অনেকেই কিন্তু এটা মারাত্মক একটি সমস্যা।
অতি তৎপর, আবেগপ্রবণ হওয়া এবং অমনযোগী হওয়া এই তিনটি বিষয় দিয়েই এডিএইচডি’কে চিহ্নিত করা হয়।
স্কুলে এবং বাড়িতে সব জায়গাতেই এই সমস্যা এডিএইচডি ছয় মাসের বেশি স্থায়ী হয়। পড়াশুনায়, সামাজিকভাবে ও আবেগ অনুভূতির ওপর মারাত্মক প্রভাব পরে।